চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার

আমাদের মানব দেহের বিভিন্ন অংশের জন্য আমাদের বাহ্যিক সৌন্দর্য ফুটে ওঠে। তারমধ্যে একটি অংশ হলো আমাদের মাথার চুল। আমাদের চুলের মাধ্যমে আমাদের সৌন্দর্য,আত্মবিশ্বাস ফুটে উঠে।

 চুল মানুষের অমূল্য সম্পদ। এই সম্পদ যে একবার হারায় ফেলে সেটা ফিরে পাওয়া প্রায় অসম্ভবই বলা চলে। তাই চলুন দেখে নেওয়া যাক এই মূল্যবান সম্পদ অকালে না হারিয়ে কিভাবে ধরে রাখবেন সময় থাকতেই।

পোস্ট সূচিপত্রঃ এই আর্টিকেল টি পড়ে যা যা জানতে পারবেন

মাথার চুলের যত্নে কারিপাতা অলরাউন্ডার হিসেবে কাজ করে থাকে। এবং এটি সম্পূর্ণ প্রাকিতিক ও আয়ুর্বেদিক ঔষুধি বলা চলে। কারণ এটি শতাব্দীর পর শতাব্দি, যুগের পর যুগ, চুলের যত্নের জন্য বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এবং এটি বিশেষ ভূমিকায় রেখে চলেছে প্রতিনিয়ত। এই পাতার এত উপকার রয়েছে আপনি জানলে ব্যবহার করতে উৎসাহিত হবেন। এটি সম্পূর্ণরূপে প্রাকৃতিক হওয়ায় এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।তাই ব্যবহার করতে পারেন অনায়াসে নিশ্চিন্তে। 

কারিপাতা কোথা থেকে সংগ্রহ করবেন

কারি পাতার গাছ আমাদের জন্য অত্যন্ত একটি প্রয়োজনীয় গাছ হলেও, এটি খুঁজে পাওয়া আজকাল দোষ কর ব্যাপার। কেননা, সব এলাকাতে এই গাছ সচরাচর দেখতে পাওয়া যায় না। এটি খুঁজে পাওয়ার জন্য প্রথমত আপনি আপনার বাসার আশেপাশে বা এলাকায় দিতে পারেন। 

না পেলে পরবর্তীতে বাজার বা মুদিখানা দোকান থেকে কিনে আনতে পারেন। পরে কাজটি খুঁজে পেলে চেষ্টা করবেন সাথে সাথে ব্যবহার করার। কেননা এই পাতাটি আস্তে আস্তে তার কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে, তাই চেষ্টা করবেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ব্যবহার করার। এটি সংরক্ষণ করা ও একটি মুশকিল কাজ মাজারে বেশিদিন থাকে না। 

চুলের খুসকি এড়াতে কারিপাতার ব্যবহার

কারি পাতা বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও প্রোটিন থাকে। এছাড়াও কারি পাতায় রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। যা কিনা আপনার খুশকি দূর করতে সহায়ক। চুলের খুশকি দূর করতে চাইলে প্রথমে কিছু কারি পাতা নিন, এরপর এটি কে ভালোমতো বেটে এর সাথে সমপরিমাণ টক দই মেশান। 

মিশিয়ে এটি পেস্ট করা হয়ে গেলে এটি আপনার মাথার তালুতে ভালোমতো ম্যাসাজ করুন কমপক্ষে আধা ঘন্টা।এরপর আপনার মাথা ধুয়ে ফেলুন। এবার দেখুন ম্যাজিক, কিভাবে এটি যাদুর মত কাজ করে খুশকি দূর করতে। 

চুল পাকা এড়াতে কারি পাতার ব্যবহার

চুল কালো থাকতেই এখনো সতর্ক হোন। কালো থাকতে থাকতেই চুলের যত্ন নিন। না হলে পরে পস্তাতে হবে। যদি পস্তাতে না চান তাহলে এখনই কারিপাতার ব্যবহার শুরু করুন। কিভাবে কি করবেন ভাবছেন?

প্রথমে কিছু পরিমাণ কারি পাতার সাথে পেঁয়াজের রস মিশিয়ে নিন। এবং এটি মাথায় ম্যাসাজ করুন।এটি এমনভাবে ম্যাসাজ করুন যাতে আপনার প্রত্যেকটা চুলে স্পর্শ পায়। ব্যাস হয়ে গেল। এখন এটি আপনার অল্প বয়সে চুল পাকা রোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে, পাশাপাশি আপনার বয়সের ছাপ ও এড়াবে।

হেয়ার টনিক এর ব্যতিক্রম হিসেবে কারিপাতার ব্যবহার

টাকা দিয়ে হেয়ার টনিক না কিনে, আপনি চাইলে আপনার বাসা বাড়ির আশপাশ থেকে কারি পাতা দিয়ে অনায়াসে বানিয়ে ফেলতে পারেন হেয়ার টনিক বিনামূল্যেই।যা আপনার চুলকে করে তুলবে আরও সিল্কি ও শায়নি। কারণ এতে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় অ্যামিনো অ্যাসিড। 

এর জন্য প্রথমে একটি প্যান নিন। প্যানে কিছু পরিমাণ নারিকেল তেলের সাথে তা মিশ্রণ করে একটু গরম করে নিন। পরে গরম হয়ে এলে, তা চুলা থেকে নামিয়ে আপনি হেয়ার  টনিকের ব্যতিক্রম হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। যাতে করে আপনার চুল হয়ে উঠবে অনেক সিল্কি ও সাইনি।

শেষ কথা মন্তব্য

পরিশেষে আর্টিকেলটি থেকে আমরা এই দেখতে পাই যে, হেয়ার  টনিক আমাদের অতি পুরনো আয়ুর্বেদিক ঔষধি হিসেবে কাজ করে আসছে শতাব্দীর পর শতাব্দী যুগের পর যুগ। যা আমাদের চুলের যত্নে অতীব মাত্রায় ভূমিকা পালন করে থাকে। আর্টিকেলটি পরে কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না।ভালো লাগলে কাছের মানুষদের সাথে শেয়ার করবেন। 









এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্কিড আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url